ঘাতক ট্রাক শুধু একটি রিকশাই গুঁড়িয়ে দেয়নি

ঘাতক ট্রাক শুধু একটি রিকশাই গুঁড়িয়ে দেয়নি, কেড়ে নিয়েছে সেই রিকশার আরোহী এক যুবক, তার এক বছর বয়সী শিশুকন্যা এবং রিকশাচালকের প্রাণ; গুঁড়িয়ে দিয়েছে সাজানো-গোছানো একটি সংসারও। নিহতরা হলেন মো. সুলতান (২৮), তার শিশুকন্যা ইসরাত মুনতাহা এবং অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ নিজাম (৪৫)। চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গতকাল সিমেন্টবাহী ওই ঘাতক ট্রাকের চাপায় স্বামী-সন্তান হারালেও অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন রোজিনা (২০)। তবে তিনিও আহত হয়েছেন। গতকাল বেলা ১১টায় উপজেলার বাড়তাকিয়া বাজারসংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় স্বামী-স্ত্রী ও এক শিশুসন্তানসহ বাজার থেকে বাড়ির পথে ফিরছিল একই পরিবারের তিন সদস্য। এ সময় সিমেন্ট পরিবহনকাজে নিয়োজিত চট্টগ্রামমুখী একটি ট্রাক অটোরিকশাটিকে চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে দুজনসহ  মোট তিনজন নিহত হন।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া বাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রত আমাদের দুটি ইউনিট সেখানে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়েসহ দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। আহত দুজনের মধ্যে অটোরিকশার চালক মো. নেজামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। আহত রোজিনা বেগমের অবস্থা গুরুতর না হওয়ায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়নি।
দুর্ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেহেল সরকার বলেন, দুর্ঘটনার কথা জেনেছি। তবে নির্বাচনের কারণে ফাঁড়ির লোকবল অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ায় তাৎক্ষণিক উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। পরে গিয়ে অটোরিকশাকে চাপা দেওয়া ট্রাকটি জব্দ করে ফাঁড়িতে নিয়ে এসেছি। মিরসরাই থানায় খোঁজ নিয়ে পুরো বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেব।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment